কুড়িগ্রামে সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

53

মোঃমিজানুর রহমান কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউপিতে অবস্থিত “সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” এ ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান। ভবনটির ভিতরে গেলে চোখে পড়ে ছাদের পলেস্তার খসে পড়ার চিত্র। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভবন এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, সব সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ওই ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষেই ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরাও। জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এর পর থেকেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে এই বিদ্যালয়টি। প্রতি বছর এই বিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে থাকে। কিন্তু সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাদের পলেস্তার খসে পরা ও ছাদের বিমসহ এই সব ফাটল। ২০০১ সালে পূর্ণ নির্মাণ করে দু-তলা ভবন করা হয় বিদ্যালয়টি। গত ২-৩ বছর আগে ভবনটির ৩ কক্ষের ছাদের বিম, ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরে এবং ছাদের পলেস্তার খসে পরে। বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ৫ জন শিক্ষক ও ২৭৫ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানান, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠগ্রহণ করছি। কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যা সমাধান না করলে যে কোন মুহূর্তে দুঘর্টনা ঘটতে পারে। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক খন্দকার তানজিনা মমতাজ জানান, ভবনটির ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরেছে এবং ছাদের পলেস্তার খসে পরেছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বিষয়টি জানিয়েছি। যদি এই সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এন, এম, শরীফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, চলতি মাসের ২৩ তারিখে আমাদের মাসিক মিটিং আছে। সেই মিটিং এ সবার সম্মতি নিয়ে নতুন বিল্ডিং এর জন্য ঢাকায় রিপোর্ট পাঠাবো। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, ইতিমধ্যেই আমরা বিদ্যালয়ের তালিকা উপজেলা এলজিইডি অফিস পাঠিয়েছি। তারা যাচাই বাছাই করে রিপোর্ট দিলে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট পাঠাবো। বিদ্যালয়ের এ দুরাবস্থা থেকে উত্তরণের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয়রাও।