দেওয়ানগঞ্জে  বসতভিটা দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ

25
শাহ্ আলী বাচ্চু, ‍জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এক শিক্ষক পরিবারের বসত বাড়ি  দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।  কোটি কোটি টাকার ব্যবসা বানিজ্য, পৈতৃক অগাধ ধন-সম্পত্তি জমিজমা  এবং দোকানপাট থাকা সত্ত্বেও ভূমিহীন সেজে  অন্যের বসতবাড়ি দখল করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।  সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের অন্তর্গত কান্দির গ্রামের মরহুম রকিবুজ্জামান মাস্টারের   বাহাদুরাবাদ মৌজার  ১০৮০৪ এবং ১০৮০৫ দাগেরর ১১ শতক জমির উপর একটি আধাপাকা বিল্ডিং রহিয়াছে।  ৭৫ বছরের অধিক সময় ধরে তারা সেই বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন।   রকিব মাস্টার জীবিত থাকাকালীন সময়ে এ নিয়ে তার বড় ভাই এবং ছেলেরা  কোন অভিযোগ করেনি।  কয়েক বছর আগে রকিব মাস্টারের সন্তানরা সেই ভূমিতে একটি আধা পাকা বিল্ডিং স্থাপন করে। কয়েক বছর আগে সে মারা যায়।   এরপর তার ভাতিজা  রেজাউল হক সহ অন্য ভাইয়েরা মিলে তাদের নিজস্ব বাড়ি ভিটার ১০৮০৬ দাগের ১৩ শতক জমি সহ রফিক মাষ্টারের সন্তানদের দখলভুক্ত বাড়ি ভিটাসহ ২৫ শতক জমি ভূমিহীন  বন্দোবস্ত গ্রহণ করে। এরপর থেকেই সেই  জমি হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা শুরু করে।  কিন্তু রকিব মাস্টারের সন্তানরা সেই বাড়ি থেকে কোনভাবেই বাড়ি-ভিটা না ছাড়লে তারা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।  এতেও কাজ না হলে তারা মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে রকিব মাস্টারের ছেলে জামালপুর  সরকারি জেলা স্কুলের শিক্ষক  জয়নুল আবেদীন জানান, ৭৫ বছর এর অধিক সময় ধরে আমরা এবং আমার পূর্বপুরুষ এই বাড়িতে বসবাস করে আসছি।  আমার বাড়িভিটা  ১ নং খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত এবং   আমাদের ভোগ দখলকৃত জমি।  যা আমার আপন চাচাতো ভাইয়েরা অন্যায় ভাবে বন্দোবস্ত গ্রহণ করে। সেই বাড়িভিটা যে আমাদের সেটা এলাকার সবাই জানে, এখন আমাদেরকে সেই বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য জোরপূর্ব ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাজনৈতিক বল প্রয়োগ করছে ।  আমরা শিক্ষক পরিবার এবং ভদ্র মানুষ হওয়ায় নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেছি।  আমি এই ব্যাপারে জামালপুর প্রেস ক্লাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।  আমি প্রশাসনের কাছে বিনীত আবেদন করছি আমাদের পৈত্রিক সূত্রের প্রাপ্ত বসত ভিটা দখলের  বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রেজাউল হক এবং তার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম জানান জমিটা প্রকৃতপক্ষে আমাদের,তারা অন্যায় ভাবে সেটা জবরদখল করে আছে।  আপনারা প্রকৃত ভূমিহীন কিনা এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে কোন উত্তর দিতে রাজি হননি।  দেওয়ানগঞ্জ ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আব্দুর রাজ্জাক বলেন বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে জটিলতা চলে আসছে, আমরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ  হলে তিনি জানিয়েছেন তদন্ত করে  ব্যবস্থা গ্রহণ