শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা “করোনা যোদ্ধা” ডা. ফারহানা আহমেদের  দৃষ্টান্ত : স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধি

39

আলম খান, সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার : নরসিংদীর শিবপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশ্বস্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ১৯৮২ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।শিবপুর উপজেলার প্রায় পাঁচলাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ৩১ শয্যার হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৫০ শয্যার এই নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন তৎকালিন নরসিংদী- ৩ আসনের সংসদ সদস্য,আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন। ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়ে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পুরনো ভবনের পাশেই ৫০ শয্যার নতুন ভবন। আধুনিকভাবে গড়ে তোলা ভবনে ” বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীনে সময়ে “নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় করোনা ওর্য়াড স্থাপন করে শত শত করোনা রোগীদের ভর্তি রেখে করোনা যোদ্ধা ডাক্তাররা স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সুস্থ করে তুলেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনা সময় যোগদান “করোনা যোদ্ধা ” ডা:ফারহানা আহমেদ ছোট দুইজন ছেলে, অসুস্থ স্বামী কে বাসায় রেখে করোনাকালীন সময়ে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নতুন দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন,করোনাকালীন বিভিন্ন ভেকসিন, বোষ্টার ডোজ,স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী নিয়ে টিম গঠন করে সেবা প্রদান করেন। কভিড 19 সেবা শতভাগ প্রদান করায় শিবপুর উপজেলা সর্বস্তরের মানুষের কাছে ডা:ফারহানা আহমেদ করোনা যোদ্ধা হিসিবে পরিচিতি পেয়েছেন। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা, আ: মোতালেব জানান, আমি ডায়াবেটিসের রোগী,হাসপাতালে আসলে ডাক্তাররা আমার প্রথমে প্রেসার মেপে, সুগার টেস্ট, অন্যান্য পরীক্ষা করে ডায়াবেটিস বই করে দিয়েছেন, দেখুন গ্লিপিজাইড (Glipizide),মেটফরমিন ৫০০ মি.গ্রা,ওমেজাল এই ঔষধ গুলো বাইরে কিনতে গেলে অনেক টাকা লেগে যেত, আগে শিবপুর থেকে নরসিংদী বানিয়াছল ডায়াবেটিস হাসপাতালে যেতাম অনেক সময় লাগতো, এখন আমাদের শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডায়াবেটিস রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য উক্ত হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:ফারহানা আহমেদ শিবপুরবাসীর পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই ও ধন্যবাদ জানাই।কথা হয়, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাছে আসা রুমা আক্তারের সাথে তিনি জানান, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে সেবা পাওয়ায় আমরা উপকার পাচ্ছি, ক্লিনিকে গেলে ভিজিট ৬০০ টাকা তারপর হরেক রকম টেস্ট ও অনেকগুলো ঔষধ লেখে দেয় যা আমাদের কিনতে কষ্ট হয়। কয়েকজন রোগির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় খরচ বহন করার সামর্থ নাই। জয়নব বেগম বলেন, মানুষের কাছে শুনেছি সরকারি হাসপাতালে ভাল ভালডাক্তার আইছে সকল ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়, সরকারি কম খরচে রোগের পরীক্ষা করা হয়। তাই আমি ১ সপ্তাহ আগে এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পর আজকা আমার ননদ কে নিয়া আইছি। হাসপাতালের প্রধান সহকারী রাশেদুল কমল বলেন, প্রতিদিন মেডিসিন, গাইনী,অর্থোপেডিক,শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছ থেকে ৭০০ শত বেশি রোগী সেবা গ্রহণ করছেন। হাসপাতালের পাশের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রমটি চালু হওয়ায় আমরা একটু ভালো চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই ওয়ার্ডগুলোতে নির্ধারিত শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকছেন।