নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলার ভিটিচিনাদী গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের দাদন ব্যবসায়ী রতন মিয়া ভিটেমাটি হারাচ্ছে

82

আলম খান : বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা কবিতা হার মানাবে! নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের ভিটি চিনাদী গ্রামের সম চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী ঊষা রাণীর বর্মনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রতিবেদক জানান,উক্ত এলাকার দাদন ব্যবসায়ী রতন মিয়া, গত ১৩/০২/২০২৪ ইং তারিখে রোজঃ মঙ্গলবার দুপুর ১.৩০ মিনিটে রতন আমার শশুর বয়োজ্যেষ্ঠ নারায়ণ চন্দ্র বর্মন (৮০) কে গালিগালাজ করিতে থাকলে, আমি গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে দাদন ব্যবসাযী রতন মিয়া সে আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি ও জুতা দিয়ে পেটাতে থাকে, যাবার সময় আমাদের পরিবার কে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যায় । ঊষা রানী বর্মন জানান, চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। স্বামী মাছ ধরতে পারলে সংসার চলে আর মাছ না পেলে কষ্ট করে দিন পার করতে হয় নুন আনতে পান্তা ফুরায় , ছেলেটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। রতন মিয়ার মেয়ে রিমা আক্তার কাছ থেকে বিগত ২০২১ সালে আমার নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তার কাছ ১৫০০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ধার আনি হাজারে একশত টাকা সুদের বিনিময়ে। চার ধাপে রিমার কাছে সুদে আসলে আমি ১,৪৫,০০০/- (এক লক্ষ পয়তালিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করি। ১ম ধাপে ৮০,০০০/-(আশি হাজার) টাকা ও ২য় ধাপে ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা ও তৃতীয় ধাপে ৫.০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা ৪ র্থ ধাপে৩০,০০০/- ( ত্রিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করি । রিমা আমার কাছে বাকি পাওনা ছিল ৩৫০০০/-(পয়ত্রিশ হাজার)টাকা। কিন্তু হঠাৎ রিমা মারা যাওয়ার ২ দিন পরে আসামী রতন মিয়া আমাকে এবং আমার স্বামীকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে চাপাতি, রাম দা ছুরি দেখিয়ে ভয় ভীতি হুমকি প্রদান করে যে তোদের কাছে আমি পাঁচ লক্ষ টাকা পাওনা যদি এটা স্বীকার না করিস তাহলে তোর ছেলে মেয়ে মেয়ে সবাই মেরে গুম করে ফেলব। এই ভয়ে আমরা তাদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা আমাদের দুর্বলতার সুযোগে নিয়ে দাদন ব্যবসায়ী রতন মিয়া কৌশলে খালি ৩ পাতার স্ট্যাম্পে সই এবং স্বাক্ষর রেখে দেয়। উল্লেখ ঘটনার পরে আসমী রতন জোরপূর্বক আমাদের বাড়ি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বিগত ৭/৮ মাস আগে আমাদের একটি গাভী নিয়ে যায়, পরে বিষয়টি আমরা আমাদের এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন এবং আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বললে তাদের সহযোগিতায় আমাদের গরুটি উদ্ধার করে দেয়। আমরা সংখ্যালঘু পরিবার” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী” জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। উক্ত ঊষা রানী বর্মন গত ১৩ ই ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। উক্ত এলাকায় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মানিক চন্দ্র বর্মন,ঠাকুর দাস, নিখিলসহ অনেক সংখ্যালঘু পরিবার দাদন ব্যবসায়ী রতন খপ্পরে পড়ে ভিটেমাটি হারিয়েছে।