নাগেশ্বরীতে উপজেলায় জুয়ায় শত শত লোক সবর্শান্ত প্রশাসনের সহযোগিতা চান সচেতনমহল

26

বিশেষ সংবাদদাতা :  কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রতিনিয়ত জুয়ার আসরে লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়ে ফেলছেন শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সের যুবকরা,পুলিশের কঠোর অভিযান চান এলাকার সচেতনমহল। নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ, নুনখাওয়া বল্লভেরখাস ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের চোখে ফাকি দিয়ে জাগজমকভাবে বিশাল পরিসরে চলছে জুয়ার আসর। কালীগঞ্জের দুধকুমর নদীর এপাড় ওপাড় সহ প্রতন্ত চরাঞ্চলগুলোতে চলছে একদিন পর পর খেলা, এত বড় পরিসরে খেলা চললেও প্রশাসনের কোনো অভিযান না থাকায় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সচেতনমহল। জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সবচেয়ে বেশি হতদরিদ্র এলাকা কালীগঞ্জ,নুনখাওয়া ও বল্লভেরখাস ইউনিয়ন। এখানের অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে জিবনমান অতিবাহিত করছেন কিন্তু তারা জুয়ার আসরে জড়িয়ে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়ে ফেলছেন শুধু একরাতের ব্যবধানে। অসহায় পরিবারগুলোর প্রধান কর্মক্ষম ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন বাহিরে কাজ করে টাকা উর্পাজন করে রমজান মাসে নিজ এলাকায় আসলে অবসর সময় কাঠান সেই ঐ সময়গুলোতে জুয়া বোডের কুচক্রী কিছু জুয়ারী প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা এতে ঐ পরিবারগুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা, তৈরি হচ্ছে দ্বিগুন অর্থের সমস্যা । এইভাবে প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মসহ সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন মানবাধিকার সংস্থা ইউনিটি ফর ইউনির্ভাস হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ এর নাগেশ্বরী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগন। উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের দুধকুমর নদীর পাড় সিএনবি ঘাটের একটু দক্ষিণে নদীর পাশেই চলে জুয়ার আসর, অন্যদিকে শালমারার চরের মাঝখানে, কাঠগিরাই চরে, সাহেবগঞ্জের আবাসনের আশেপাশের ভুট্টাক্ষেতের মাঝে পালাক্রমে জায়গা বদল করে চলছে এইসব জায়গায় জুয়া খেলা তবে একদিন পরপর বসে দুধকুমর নদীর উপরে, তবে পরিস্থিতি একটু খারাপ দেখলে তারা নৌকাযোগে মাঝ নদীতে খেলা বসায় এবং কালীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণের নুনখাওয়া রোডের পশ্চিমে বগাকুসীর দোলাতেও কম সময় হলেও চলে আসর। ওপরদিকে কচাকাটা থানার আওতায় দুধকুমর নদীর ওপারে ঘাট পাড় হয়ে উত্তরে ও দক্ষিণে ফাঁকা জায়গায়সহ নামাচর,ভেলকার চর, চর বলরামপুরে চলছে দিব্বি জুয়ার আসর। অন্যদিকে নুনখাওয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে কয়েকদিন পরপর বসে খেলা ও মাদকের আসর, রাত ১০ টা বাজলেই জুয়ারীরা একএক করে গিয়ে৷ বড় নৌকায় উঠে মাঝ নদীতে নৌকা থামিয়ে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা। গোপনসূত্রে জানা যায় দীর্ঘ ৩ সপ্তাহ ধরে চলছে কালীগঞ্জের নদীর পাড়ে এই জুয়ার আসর,জুয়ারীরা বলছেন যে পুলিশসহ সব জায়গা মিটিয়ে আমরা খেলায় বসি তাই কোনো ভয় নেই আমাদের, কিন্তু জনমনে প্রশ্ন থেকেই যায় এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে অসহায় পরিবারের প্রধান কর্মক্ষম ব্যক্তিগুলোসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলে এবং শিক্ষার্থীরা আসতে আসতে জুয়া খেলার নেশায় আসক্ত হবেন বলে মনে করছেন তারা। আরো জানা যায় খেলা চলার প্রতিরাতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিটাতে যায়, জুয়া খেলার আশেপাশে থাকেন জুয়ারীদের লোক কোনো অপরিচত পেন্ট শার্ট পরিহিত ব্যক্তি গেলে দূর থেকে ফোনেই সাবধান করে দেন, এতে প্রশাসনের নাকের ডকায় জুয়া চললেও ধরাছোঁয়ার বাইরে জুয়ারীরা। কালীগঞ্জের জুয়া খেলায় টাকাওয়ালা ব্যক্তি / শিক্ষার্থীরা,খেটে খাওয়া মানুষজন জরিয়ে পড়ায় উদ্যেগ এবং চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে উক্ত এলাকার সূধীসমাজের মধ্যে। এদিকে নদীর পাড়ের কয়েকজন কৃষক অভিযোগ তুলেছেন যে প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসায় শতশত মানুষের চলাচলে কৃষকের ফসলী জমির এক তৃতীয়াংশ নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ কৃষক জানান রাত ১০ টা ১১ টার সময় জুয়া খেলা বসে ধান গাড়ছি আইল দিয়ে হাটতে হাটতে পায়ের নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানের গাছ পুলিশের কাছে মোর দাবি তারাতাড়ি জুয়া খেলা বন্ধ করা হোক। কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় ধানক্ষেত, ভুট্টাক্ষেতের মাঝামাঝি জুয়ার আসর বসান তারা। এবিষয়ে নাগেশ্বরী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার বলেন তথ্য পেলেই অভিযান চলবে। কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাছুম জানান আমরা কোনো মাদককারবারী এবং জুয়ারীকে ছাড় দেইনা । যেখানেই খেলা বসুক কঠোর অভিযান চলবে।