কমলনগরে ইয়াবা সেবনের ছবি বিকৃত করে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

105

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : কমলনগরে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যর ছবিকে সুপার এডিট করে ইয়াবা সেবনের কালিমা লেপন করে ওই ছবি কৌশলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওমর ফারুক উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। রবিবার সন্ধ্যার পর এ সংক্রান্ত একটি ছবি ফেইক আইডির মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়্। পরে ওই ইউপি সদস্য দাবি করেন এঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন। অজানা কোনো ব্যক্তির মাদক সেবন করা ছবির সাথে তার মুখের অংশ এডিটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় সম্মানহানী হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির ধারায় মামলা করার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, স্থানীয় মুন্সিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ,মুন্সিরহাট জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি নিয়ে এলাকার সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন ও তার লোকজনের সাথে ওমর ফারুকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এছাড়া নির্বাচনে নুরুল আমিনকে হারিয়ে ফারুক নির্বাচিত হয়েছে। যে কারণে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ লেগেই আছে। ওই বিরোধের জের ধরে ছবিটি এডিট করা হতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা। ভুক্তভোগী ওমর ফারুক জানান, ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার একটি বিরোধি গ্রæপ কারণে অকারণে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের ভিত্তিহীন প্রপাগান্ডা রটাচ্ছে। অবশেষে ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে এবার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তার ছবিকে অজানা কোনো ব্যক্তির ইয়াবা সেবনের ছবির সাথে মুখের অংশ সংযুক্ত করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় ওই গ্রæপটি। এতে তার সামাজিক মর্যাদাহানি হয়েছে। উল্লেখ্য, ওমর ফারুক একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও সফল জনপ্রতিনিধি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি জয় লাভ করেন। অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়ে উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান জিরো টলারেন্স। এলাকায় মাদক নির্মূলে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।