মুন্সীগঞ্জের স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিউশন ও কলেজের অর্থ আত্মসাৎ : অধ্যক্ষ মো: ফরহাদ আজিজ বরখাস্ত: আইনানুগ শাস্তি দাবী

98

দেলোয়ার হোসেন : অর্থ আত্মসাৎ ও নানান দূনীতির দায়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখালস্থ স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিউশন ও কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফরহাদ আজিজকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। গর্ভনিং বডির সভায় ২১লাখ ২৫ হাজার ৯শত ৫৯ টাকা অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরপর কয়েকটি নোটিশের জবাব দিলেও তাতে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে ব্যর্থতায় তাকে চুড়ান্তভাবে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে বিগত ৬ এপ্রিল অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ লিখিত ভাবে অধ্যক্ষ মো: ফরহাদ আজিজের বিরুদ্ধে নানান অপকর্মের উল্লেখ করে গর্ভনিং বডির সভাপতি বরাবরে অভিযোগ দেন।
উক্ত লিখিত অভিযোগে অধ্যক্ষ ফরহাদ আজিজের স্বৈরাচারমূলক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেয়া, নিজে কোন কাজ না করে কমিটি গঠন করে শিক্ষকদের হয়রানি করা, বিভিন্ন অজুহাতে বিনাকারণে শো-কজ নোটিশ দেয়া, অসংখ্যবার মৌখিকভাবে যে কোন শিক্ষককে অপমানিত করা ছিল তার কাছে স্বাভাবিক একটি বিষয়।
উপরন্তু কারো কোন তোয়াক্কা না করে খাতা দেখা, পরিক্ষার ডিউটি, কোচিংমানিসহ সকল খাত থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায়, যেকোন ক্রয় খাতে ভাউচার স্লিপে বেশি টাকা দেখানো ছাড়াও অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির এই ফরহাদ আজিজ নিজের নির্ধারিত ক্লাস না করে প্রক্সি ক্লাসের জন্য সবার চেয়ে বেশি সম্মানী অর্থ তিনি বাগিয়ে নিতেন। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও বাজে স্বভাবের কারণে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিসে স্বনামধন্য স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিউশন ও কলেজের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তার কক্ষ থেকে বাজে আচরণ পেয়ে অনেক ম্যাডাম কান্না করেও বের হয়েছেন মর্মে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।
অতিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষয়ত্রীগণ লিখিত অভিযোগ পত্রে অভিবাবক, প্রতিনিধিদের যখন তখন অসম্মানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, হরহামেশাই অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকেও অসম্মানজনক কথা বলে আসছেন।
উল্লেখ্য মিথ্যা কথা বলার জন্য তাকে কয়েকবার গর্ভনিং কমিটির মিটিংয়ে তিরস্কৃত হলেও তার স্বভাব বদলায়নি। তিনি কোন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সায়েস্তা করার জন্য বিভিন্ন কৌশলী প্রশ্ন করে তা রেকর্ড করে রাখতেন।
এমন শিক্ষক অবান্ধব, দূর্নীতিবাজ নীতিহীন ফরহাদ আজিজ যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কখনোই কল্যাণকর নয়। তার মতো অধ্যক্ষের পরিচালনায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার মঙ্গল আশা করা যায়না।
এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট ওয়াকিবহাল মহল অর্থ আত্মসাতকারী দূর্নীতিবাজ ফরহাদ আজীজকে বরখাস্ত করার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা শিক্ষক নামের কলংক এই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে।