কুড়িগ্রাম-২ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ হামিদুল হক খন্দকার

39

মোঃ মিজানুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : ‘ভাওয়াইয়া গানের ধাম, নদ-নদীময় কুড়িগ্রাম’ নদীমাতৃক জেলা কুড়িগ্রাম। কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী এই ৩টি উপজেলা ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-২ আসন। কুড়িগ্রামের ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২নং আসনটি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী একবার এই আসনে সরাসরি নির্বাচিত হলেও বেশির ভাগ সময়েই জাতীয় পার্টির ও বিএনপি’র প্রার্থীর দখলে ছিল। দল ও নেতা-কর্মীদের উজ্জ্বীবিত রাখতে এই আসনটি নিজেদের দখলে রাখা নিরলস চেষ্টা সব দলের।  

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-২ আসনটি দখলে রাখতে চায় জেলা আওয়ামীলীগ। কিন্তু জাতীয় পার্টি ছাড়তে নারাজ। বর্তমানে বিএনপি মাঠে থাকলেও এখন ভাবছেন না। আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতা-কর্মীরা। তবে বিএনপি নির্বাচনে গেলে এই আসনে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিদন্দ্বীতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব দলের প্রার্থীর গণ প্রচারণা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতে দৌড়-ঝাপ শুরু হয়েছে। নিজ নিজ দলের প্রার্থী নিজস্ব জায়গা থেকে জনগণের সাথে মতবিনিময়, মিটিং, মিছিল ও আলোচনা শুরু করছে। এ দিক থেকে পিছিয়ে নেই কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমন্ডল গ্রামের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ হামিদুল হক খন্দকার। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় ৬ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর নওয়াজেস এর অধীনে বিভিন্ন স্থানে ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম, মোগলহাট, লালমনিরহাট, তিস্তা এবং রংপুর এর বিভিন্ন জায়গায় বীরত্বের সহিত গেরিলা এবং সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে চলছেন। শিক্ষা জীবনে তিনি ফুলবাড়ী জছিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ঢাকা (নিটর) পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ডি-অর্থো ও এমএস ১৯৯৯ইং সালে কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হন। কর্মজীবনে তিনি মেডিকেল অফিসার হিসেবে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল ঢাকা, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে অধ্যাপক হিসেবে ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার উপদেষ্টা, সেন্ট্রাল সদস্য, বঙ্গবন্ধু গবেষণা শিক্ষা পরিষদ ঢাকা এবং বিভাগীয় সেক্রেটারী রংপুর, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় চার নেতা কমিটি রংপুর, আজীবন সদস্য স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ ও বিএমএ। সামাজিক জীবনে চেয়ারম্যান আফরোজা ফাউন্ডেশন ফুলবাড়ী উপজেলা শাখা, বর্তমান ডারেক্টর রংপুর লায়ন্স ক্লাব, রংপুর, প্রেসিডেন্ট ডাঃ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি সংসদ, রংপুর। এছাড়াও এ মহান ব্যক্তি ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট উপজেলার কলেজ ও ইউনিভার্সিটি পড়–য়া গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের খরচ বহন করে চলছেন।

কুড়িগ্রাম জেলার গরীব অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন সময় ফ্রি চিকিৎসা প্রদান, এতিমখানা, ইততেদায়ী মাদ্রাসা, মক্তব, মস্জিদ ও মন্দির নিজস্ব অর্থ প্রদান করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-২ আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ হামিদুল হক খন্দকারকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দিবে।