স্পিনারদের দাপটে বড় জয় কলকাতার

91

স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস আছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর)। শুধু ঘুরে দাঁড়ানো নয়, এমন মুহূর্তগুলোয় হাই স্কোরিং ইনিংসও উপহার দিয়েছে। যেমনটা ঘটেছে আজ। ৮৯ রানে তাদের ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তার পর সাত নম্বরে নেমে শার্দুল ঠাকুর ইডেনে ঘরের মাঠে উপহার দিয়েছেন বিস্ফোরক এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই ৭ উইকেটে ২০৪ রান করেছে স্বাগতিক দল। বিশাল সেই লক্ষ্য টপকাতে পারেনি র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর (আরসিবি)। কলকাতার কাছে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। তাতে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া কলকাতা ঘুরে দাঁড়িয়েছে টুর্নামেন্টে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: কলকাতা- ২০৪/৭

বেঙ্গালোর- ১৭.৪ ওভারে ১২৩/১০

ফল- কলকাতা ৮১ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা- শার্দুল ঠাকুর।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা কলকাতার একপ্রান্ত শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ছাড়া পরের তিন ব্যাটার কিছুই করতে পারেননি। ৪৪ বলে আফগান ব্যাটার ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। তার বিদায়ের পর ৮৯ রানে আন্দ্রে রাসেলও খালি হাতে ফিরলে পতন হয় পঞ্চম উইকেটের। চাপের মুহূর্তে শেষটা যে বিস্ফোরক হবে তা কে ভেবেছিল? পরে সেই চাপ জয় করেছেন শার্দুল ঠাকুর। ২৯ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। সঙ্গে রিংকু সিংও ৩৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় উপহার দিয়েছেন ৪৬ রানের ইনিংস। তাদের শেষের ঝড়ের কারণেই ৭ উইকেটে ২০৪ রান করেছে স্বাগতিক দল। অবশ্য সাত নম্বরে নেমে এমন বিস্ফোরক ইনিংস খেলায় ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন শার্দুল। সাত বা তার নিচে নেমে আইপিএলে দ্বিতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোরের নজির গড়েছেন। তার আগে রয়েছেন সতীর্থ আন্দ্রে রাসেল। ক্যারিবীয় তারকা ২০১৮ সালে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

বেঙ্গালোরের হয়ে ১৬ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি। ২৬ রানে সম সংখ্যক উইকেট নেন কর্ণ শর্মাও।

জবাবে এই ম্যাচেও আরসিবির দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ দু প্লেসি ফ্যাক্টর কাজে দিতে বসেছিল। ওপেনিং জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৪৪ রান যোগ করেন তারা। বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই কোহলিকে (২১) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সুনীল নারিন। পরের ওভারে ফাফ দু প্লেসিও (২৩) ফিরলে ধস নামে বেঙ্গালোরের ইনিংসে। তারপর কলকাতার স্পিনেই ম্যাচ থেকে তারা ছিটকে গেছে। ১০ ওভারে ৬৯ রানে পড়েছে ৫ উইকেট! তখনও ৬০ বলে প্রয়োজন ছিল ১৩৬ রান। শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানে থেমেছে বেঙ্গালোর।

১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন লেগস্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। আলো ছড়িয়েছেন অভিষিক্ত লেগস্পিনার সুইয়াশ শর্মাও। ৩০ রানে তিনি ৩ উইকেট নিয়েছেন। অফস্পিনার সুনীল নারিন ১৬ রানে কার্যকরী বোলিংয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন। একটি নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর।