প্রবাসে থেকেও নির্যাতিত নিপীড়িত নেতা কর্মীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কামাল হোসেন

49

এনামুল হক, সিরাজগঞ্জ ব্যুরো চীফঃ প্রবাসে থেকেও দেশ ও জাতির এই সংকট কালে দলের দুঃসময়ে নির্যাতিত নিপীড়িত নেতা কর্মীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, সাবেক ছাত্র নেতা, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোঃ কামাল হোসেন। দলের দুঃসময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা, রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও তার সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের বিপদ আপদের কথা শুনলেই প্রবাস থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। রায়গঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে চলেন। নেতা কর্মীরা কেউ গ্রেফতার হলে, কেউ অসুস্থ হলে তাদের বিষয়ে সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রেখে চলেন কামাল হোসেন। দলের কোনো কর্মসূচি আসলেই জেলা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সকল ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের সহযোগিতা করে কর্মসূচি সফলতায় সহযোগিতা করেন। তিনি তার সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন কর্মসুচি সফল করার জন্য। কর্মসূচি সফল করতে নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করতে ব্যানার ফেস্টুন পোস্টার করে এবং দলের এই দুঃসময়ে নেতা কর্মীদের পাশে থাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের নজরে এসেছেন। গত ১৬ জুন ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এবং বিএনপি জাতীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর উপস্হিতিতে প্রতিবাদ সমাবেশে এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সমাবেশে সবচেয়ে বড় ব্যানার করে সিরাজগঞ্জে নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক সারা জাগিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তার কর্মকাণ্ডে বিএনপি জাতীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ রায়গঞ্জের নেতা কর্মীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কামাল হোসেন বলেন, কিছু পাবার জন্য নয় ছাত্র জীবন থেকেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হয়ে ছাত্র দল করেছি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে রাজপথে থেকেছি। এখন কর্মের তাগিদে দেশের বাহিরে থাকলেও এই অবৈধ সরকারের পতন আন্দোলন বেগবান করতেই নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে তাদের বিপদ আপদে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। দীর্ঘ ১৭ বছর হলো নেতা কর্মীদের উপর যে স্টিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারপরেও তৃনমুলের নেতা কর্মীরা এ দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে। নির্যাতিত নিপীড়িত নেতা কর্মীদের পাশে থাকতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ তার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এবং একদফা দাবি আদায়ে দেশনায়ক তারেক রহমান যে কর্মসূচি সফল করতে নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করতে তাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।