কুমিল্লার বরুড়ার সরাবতী ভূমি অফিসে গ্রাহকদের হয়রানী

12

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সরাবতী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বাদ খারিজ বা দাখিলা কাটাসহ নামজারী করতে আসা ভূমির মালিকরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও তার সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে প্রতিবাদ করলে ভূমি মালিকদের সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ভূমির মালিকদের সুত্রে জানা যায়, জেলার বরুড়া উপজেলার সরাবতী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রতিদিনই বাদ খারিজ বা দাখিলা কাটাসহ নামজারী করতে আসে অনেক ভূমির মালিকরা। এক্ষেত্রে অনলাইনে নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদনের নিয়ম থাকলেও এখানে আসার পরই দালাল চক্রের বেষ্টনিতে পরে ভূমির মালিকরা। এসময় দালাল চক্রের সদস্যরা ভূমির মালিকদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগীতার বেড়াজালে আটকে নামজারী বা খারিজ দ্রæত করিয়ে দেবার লক্ষ্যে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে। তখন সেবা নিতে আসা লোকজন দাবীকৃত টাকা পরিশোধে অনিহা প্রকাশ করলে শুরু হয় গ্রাহকদের হয়রানী। স্থানীয় একাধিক দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, ভূমি সংক্রান্ত কাজে ভূমি অফিসে ভূমি মালিকদের অনলাইনে আবেদন করতে হয় এবং এজন্য রয়েছে নির্ধারিত সরকারী ফি। কিন্তু সরাবতী অফিসে এই মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম। সরাবতী ইউনিয়নের সরাবতী গ্রামের আঃ হাশেম,মনু মিয়া,সহিদুল্লাহ,হাফিজ মেম্বার,কবির হোসেন জানান, সম্প্রতি আমরা এই ভূমি অফিসে নামজারীসহ বাদ খারিজ করতে আসলে সরাবতী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অনলাইনে আবেদনের জন্য অতিরিক্ত টাকা দাবী করেন। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নিলেও কোন রশিদ দেওয়া হবে না বলে জানান। তারা আরো বলেন, এই সহকারী র্ভূমি তর্মকর্তার রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। স্থানীয় দলিল লেখক ও সহকারী দলিল লেখকরাই তার সিন্ডিকেট সদস্য। তারা গ্রাগকদের কাছ থেকে নামজারী করতে আসলে সর্বনি¤œ ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা এবং বাদ খারিজ বা দাখিলা কাটতে আসলে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দাবী করেন। আর এভাবেই প্রতিদিন ভূমি মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সরাবতী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, এখন অনলাইনের যুগ। আমাদের হাতে কোন কিছু নেই। সরকারী ফি’র অতিরিক্ত কোন টাকা আমি নেইনি কারো কাছ থেকে। তবে তিনি আরো বলেন,কেউ খুশি হয়ে বখশিশ দিলে সেটা আমার সহকারীরা গ্রহন করে।